সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সামাজিক জীবনে পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা | ইসলামে ঐক্য ও সম্প্রীতির গুরুত্ব

ইসলাম ও সমাজকল্যাণ
মানবতার কল্যাণে পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা

মানুষ সামাজিক জীব। একে অপরের সহযোগিতা ছাড়া মানুষ একদিনও চলতে পারে না। তাই সামাজিক জীবনে পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম হচ্ছে সমাজকল্যাণমূলক ধর্ম। মানব কল্যাণ ও সমাজকল্যাণই ইসলামের অন্যতম উদ্দেশ্য।

কুরআনে আল্লাহ বলেন— “তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির কাজে একে অপরকে সহযোগিতা কর, আর পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে একে অপরকে সাহায্য করো না।” (সূরা মায়েদাহ ৫:২)।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন— “দ্বীন হচ্ছে কল্যাণকামিতা, দ্বীন হচ্ছে কল্যাণকামিতা, দ্বীন হচ্ছে কল্যাণকামিতা।” আরেক হাদীসে তিনি বলেছেন, “আল্লাহ বান্দার সাহায্য করতে থাকেন যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্যে থাকে।”

ইয়াতীম প্রতিপালন

সমাজের সবচেয়ে অসহায় হলো ইয়াতীম শিশু। কুরআনে অসংখ্যবার ইয়াতীমদের যত্ন, সম্পদ রক্ষা, দয়া-মায়া ও স্নেহ প্রদর্শনের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। নবীজি (সা.) বলেছেন— “আমি ও ইয়াতীমের অভিভাবক জান্নাতে পাশাপাশি থাকব।”

বিধবাদের সহায়তা

দরিদ্র বিধবাদের সাহায্য করা ইসলামে ইবাদতের সমতুল্য। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন— “যে ব্যক্তি বিধবা ও অভাবীদের জন্য কাজ করে, সে যেন আল্লাহর পথে জিহাদ করছে, অথবা সারারাত নামাজ পড়ছে আর সারাবছর রোজা রাখছে।”

অসহায়কে খাদ্যদান

ক্ষুধার্ত, নিঃস্ব ও অভাবীদের খাদ্যদান ইসলামের একটি বড় আমল। কুরআনে আল্লাহ বলেন— “তারা আল্লাহর ভালোবাসায় অভাবগ্রস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীদের খাদ্য দেয় এবং বলে— আমরা শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই তোমাদের খাওয়াই, তোমাদের কাছ থেকে কোনো প্রতিদান বা কৃতজ্ঞতা চাই না।” (সূরা দাহর ৭৬:৮-৯)।

অন্যদিকে যারা অভাবীদের খাওয়ায় না, কুরআনে তাদেরকে জাহান্নামীদের বৈশিষ্ট্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাই সমাজকল্যাণমূলক কাজে সবার অংশগ্রহণ জরুরি।

ইসলামের মূল শিক্ষা হলো— মানব কল্যাণে কাজ করা, অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো, দয়া-ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়া এবং সমাজকে শান্তি ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করা।

মানবতার কল্যাণে আমাদের উদ্যোগে অংশ নিতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

Share:

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আসসালামু আলাইকুম

কর্জে হাসানার ফজিলত

সদস্য হতে ক্লিক করুন

আপনার আখেরাত