
জিকিরের ১০ উপকারিতা
কখনো কখনো মানুষের হৃদয় শুষ্ক ভূমির মতো রুক্ষ হয়ে যায়, আবার কখনো হয়ে পড়ে পাথরের মতো কঠিন। তখন ভালো কথা ভালো লাগে না, ভালো কাজে মন বসে না। কারণ হৃদয়ের কঠোরতা মানুষকে আত্মিক প্রশান্তি থেকে বঞ্চিত করে এবং মানসিক অস্থিরতা ও ডিপ্রেশনের দিকে ঠেলে দেয়। এমন অবস্থায় আল্লাহর জিকিরই হৃদয়ের কোমলতা ফিরিয়ে আনার সর্বোত্তম উপায়।
কর্জে হাসানা মানবতার কল্যাণে সুদমুক্ত আর্থিক সহায়তা
আল্লাহ তাআলা বলেন— “যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের অন্তর প্রশান্ত হয়, জেনে রেখো, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরগুলো প্রশান্ত হয়।” (সুরা রাদ ১৩:২৮) আরেক স্থানে বলা হয়েছে— “যারা ঈমানদার, যখন তাদের সামনে আল্লাহর নাম নেওয়া হয় তখন তাদের অন্তর ভীত হয়ে পড়ে।” (সুরা আনফাল ৮:২)
জিকিরের ফজিলতসমূহ
হাদিসে জিকিরের বহু ফজিলত উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১০টি নিচে দেওয়া হলো—
- অন্তরের মলিনতা দূর হয়: জিকির হৃদয়ের পাপ ও কালিমা মুছে ফেলে। (আত-তারগিব ওয়াত তারহিব ২/৩২৭)
- আল্লাহ প্রতিদান দেন: বান্দা আল্লাহকে স্মরণ করলে আল্লাহও তাকে স্মরণ করেন। (মুসলিম ২৬৭৫)
- জিকিরবিহীন অন্তর মৃত: জিকিরহীন হৃদয় জীবিত নয় বরং মৃত। (বুখারি ৬৪০৭)
- কিয়ামতে আরশের ছায়া: গোপনে জিকিরকারীরা কিয়ামতের দিন আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবেন। (বুখারি ৬৪৭৯)
- আল্লাহর রহমতে আচ্ছাদিত: জিকিরকারীদের ওপর রহমত ও প্রশান্তি নেমে আসে। (মুসলিম ৭০০)
- পরকালে মুক্তির উপায়: জিকির আজাব থেকে মুক্তির বড় উপায়। (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ ১৬৭৪৫)
- গুনাহ মাফ হয়: জিকিরের মাধ্যমে গুনাহ মাফ হয়ে যায় এবং তা নেকিতে রূপান্তরিত হয়। (শুআবুল ঈমান ৫৩৪)
- শ্রেষ্ঠ আমল: জিকির আল্লাহর কাছে সোনাদানা খরচ ও জিহাদের চেয়েও উত্তম। (তিরমিজি ৩৩৭৫)
- আল্লাহর সান্নিধ্য: বান্দা যতক্ষণ জিকির করে, আল্লাহর রহমত তার সঙ্গে থাকে। (মুসনাদে আহমাদ ১০৯৬৮)
- আফসোসের কারণ: দুনিয়ার সময় জিকির ছাড়া কাটানো হলে জান্নাতে তার জন্য আফসোস করতে হবে। (শুআবুল ঈমান ৫১২)
অতএব, জিকির শুধু মুখের উচ্চারণ নয়, এটি অন্তরের প্রশান্তি, গুনাহ মাফ ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম। আমাদের সবার উচিত প্রতিদিন বেশি বেশি জিকির করা।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জিকিরের মাধ্যমে অন্তরের প্রশান্তি ও জান্নাতের পথ অর্জনের তাওফিক দান করুন।
এখানে ক্লিক করুন আমাদের উদ্যোগে অংশ নিতে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন